জিপি নিউজঃ আসন্ন ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) নবসম্পৃক্ত ৬১ নং ওয়ার্ডে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা মহলে দোড়ঝাপ শুরু করেছেন । এই ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়েও চলছে নানান গুঞ্জন । দনিয়া, নূরবাগ, কুতুবখালী, কবিরাজবাগ, রসুলপুর ও নয়াপাড়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৬১ নং ওয়ার্ড ।
এই ওয়ার্ডে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই তাদের কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন । এক্ষেত্রে যাদের নাম সবচেয়ে বেশী আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্যরা হলেন দনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও কদমতলি থানার বিএনপির সাধারন সম্পাদক জুম্মন মিয়া । তবে তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের অনেক ক্ষোভ রয়েছে বলে জানা যায় । অনেকের ধারনা তিনি বিএনপি সমর্থকদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও দলীয় নেতাকর্মীদের ঠিকমত মুল্যায়ন করেন না বা তিনি সরকার দলীয় নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে চলেন। তবে যাই হোক না কেন তিনি একজন বর্তমান জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার একটা নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে সেক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে তারও সম্ভাবনা আছে । এছাড়াও এই ওয়ার্ডে যিনি এখনও পর্যন্ত প্রচার-প্রচারনায় এগিয়ে আছেন তিনি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা – ৫ আসনের বিএনপির প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, অত্র এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ কে স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভুঁইয়ার নিকটজন ও আস্থাভাজন হাজি মোঃ পারভেজ চৌধুরী । তিনি এর আগেও দনিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন সেক্ষেত্রে এই ওয়ার্ডে তারও নিজস্ব কিছু ভোট ব্যাংক আছে । তিনি বিগত আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাই এলাকার তৃনমূলের কাছে তিনি বেশ প্রশংসিত এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটা মামলার আসামী যা বর্তমানে জামিনে আছেন । গত ২৮ ডিসেম্বর বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে সেই গাড়ি বহর থেকে পারভেজ চৌধুরীর আরেক ভাই জাভেদ চৌধুরী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন সেটা খালেদা জিয়া ও দলের অন্যান্য সিনিয়র নেত্রীবৃন্দরাও অবগত । তাই সব দিক বিবেচনা করলে ৬১ নং ওয়ার্ডে বিএনপি’র সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন পারভেজ চৌধুরী । তাছাড়াও এই ওয়ার্ডে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে আরও যার নাম শোনা যাচ্ছে তিনি যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জামসেদুল ইসলাম শ্যামল । তিনি দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে থাকলেও আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।