জিপি নিউজঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রমাণ হয়ে গেছে, এই সরকার আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে সরকারের সমালোচনা করেন।
গতকাল রাজধানীতে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সব জায়গায় যে বলেছি অপচয়-দুর্নীতি আমরা কঠোর অবস্থান নেব এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স। এটা আমাদের বলতে হবে… কিন্তু আমি ইডির (ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট) সভায় বলছি, আপনারা দয়া করে ভালো কাজ করবেন। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ঘুষ খাবেন, তবে সহনশীল হইয়্যা খাবেন। অসহনীয় হয়ে বলা যায় আপনারা ঘুষ খাইয়েন না, এটা অবাস্তবিক কথা হবে।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, ‘নানা জায়গায় এ রকম হইছে, সব জায়গাতেই এ রকম হইছে। খালি যে অফিসার চোর, তা না, মন্ত্রীরাও চোর, আমিও চোর। … এই জগতে এ রকমই চলে আসতেছে। সবাইকে আমাদের পরিবর্তন করতে হবে।’
এর আগে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে ফারমার্স ব্যাংক নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘যারা এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, সেই উদ্যোক্তা পরিচালকরা লুটপাট করে ব্যাংকটি শেষ করে দিয়েছে।’
‘দেশে বিদ্যমান নৈরাজ্যকর অমানিশার মধ্যে এ বক্তব্য দেশের জন্য আরো ভয়াবহ উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে’ বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত হলো, বর্তমান সরকার আত্মস্বীকৃত চোর ও দুর্নীতিবাজ। দেশে যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে, বক্তব্যে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’
‘শিক্ষামন্ত্রীর কথায় মনে হচ্ছে, তিনিই এসব কেলেঙ্কারির উৎসাহদাতা। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল হানাদার বাহিনী, সেই একই উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিকে মেধাহীন করতে শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের জন্য অবিরাম গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন।’