জিপি নিউজঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার জন্য যান খুলনার বিশ্বজিৎ সাধু (৪৯)। সেখানে তার মেয়ে বাস করেন। মেয়ের বাড়ির পেছনে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছে বিশ্বজিতের লাশ। স্বজনদের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া পুরসভায় এ ঘটনা ঘটে। হাবড়া পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জয়গাছি বেলতলা ভাওয়ালপাড়ায় বিশ্বজিতের মেয়ে মামনি সাধু ও স্বামী পলাশ সাধুর বাসা। বিশ্বজিৎ সাধু খুলনা জেলার কালিন্দী এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বজিৎ স্নায়ুর অসুখে ভুগছিলেন। ১৫ দিন আগে বিশ্বজিৎ সাধু পশ্চিমবঙ্গে যান। এরই মধ্যে চিকিৎসকও দেখিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে বিশ্বজিৎ সাধুর মেয়ে মামনি সাধু ও জামাই পলাশ সাধু বাংলাদেশ থেকে হাবড়ায় এসে বসবাস করছেন। পলাশ সাধু তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় জয়গাছি মোড়ে একটি অনুষ্ঠানেও যান বিশ্বজিৎ।
শুক্রবার সকালে তার মেয়ের বাড়ির পেছনে একটি কাঁঠালগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় বিশ্বজিতের লাশ পাওয়া যায়। এর পরই খবর দেওয়া হয় হাবড়া থানায়।
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বজিত সাধুর মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার দুটি পা মাটিতে লাগানো অবস্থায় ছিল।
পুলিশের হাবড়া থানার কর্মকর্তা মৈনাক ব্যানার্জি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিশ্বজিতের মেয়ে মামনি সাধু ও তার স্বামী পলাশ সাধু জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হবে। বাংলাদেশে তার স্বজনরা আছেন। পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে স্বজনদের হাতে।
মামনি সাধু জানান, বিশ্বজিৎ সাধুর স্ত্রী মারা যান বেশ কয়েক বছর আগে। বাংলাদেশে তার একটি দোকান আছে বলে জানা যায়।