জিপি নিউজঃ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে গেছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর-কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর পৌছালে পুলিশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মিছিলের গতি রোধ করে। পরে সেখান থেকে ঢাকা মহানগর হেফাজতের সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখে রওনা দেয়।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে ঘেরাও কর্মসূচি সফলে মিছিল শুরু করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে জড়ো হয় হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা।
সোমবার সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু করে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
পরে বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল হেফাজতের। তবে দুপুর ১টার দিকে দূতাবাস ঘেরাও করা হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হেফাজতের ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্টন, দৈনিক বাংলা মোড়সহ পাশের একাধিক স্থানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
বায়তুল মোকাররমের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতের ঢাকা মহানগরের মহাসচিব মুজিবুর রহমান মোহাম্মাদিয়া। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে মিয়ানমারকে।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর হেফাজতের অন্যতম নেতা মাওলানা মাহমুদুল হক বলেন, ‘টেকনাফ নদীর তীরে মুসলিম রোহিঙ্গাদের কান্না বাংলাদেশের মুসলিমরা কখনই সহ্য করবে না। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লাখ লাখ কর্মী এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দরকার হলে রোহিঙ্গাদের মুক্ত করতে জিহাদে নামবে হেফাজত।’
বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের দূতাবাস তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার দূতাবাস নিয়ে যদি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ না করেন, তাহলে হেফাজতের কর্মীরা ওই দূতাবাসের একটা একটা করে ইট খুলে নেবে।’