জিপি নিউজঃ জাতিসংঘের আসন্ন ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বনেতাদের উপস্থিতির শীর্ষ এ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। মোদি কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে যাচ্ছেন না তা স্পষ্ট নয়। তবে তার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আগেই নেয়া ছিল বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে।
এর আগে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচি। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিপীড়নের কারণে বিশ্বের সমালোচনার মুখে থাকা সুচি এ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়ার কর্মসূচি বাতিল করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক শুরু হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ অধিবেশন। এবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুষমা স্বরাজ বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তবে ভারতের কোনো কর্মকর্তা এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন শেখ হাসিনা ও সুষমা। এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশকে জানাবেন সুষমা। এ বিষয়ে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারেও তারা আলোচনা করবেন।
ভারতের মিলেনিয়াম পোস্ট জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুষমা স্বরাজের এ বৈঠক নিছক সৌজন্যমূলক নয়। এ কারণেই তিনি বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে কথা বলেন এবং বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে রাখেন। জানা গেছে, ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ পর্যায়ের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সুষমা স্বরাজ এবার নিউইয়র্ক সফর করছেন। তাই তিনিই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চান।
চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমার সফর করেন মোদি। এ সময় চলমান রোহিঙ্গা নিপীড়নে মিয়ানমার সরকারকে চাপ না দিয়ে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এতে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে থাকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয় মোদি সরকার। রোহিঙ্গাদের ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে মোদি সরকার। ভারতে আগে থেকেই ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। সাম্প্রতিক সংকটের কারণে আরও ১০ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।