জিপি নিউজঃ ভারতে বিপন্ন হয়ে পড়া হাতি ও বাঘের আক্রমণে প্রতিদিন একজন করে মানুষ মারা যায়। সরকারের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে একথা বলা হয়েছে।
মানুষ বন-জঙ্গল কেটে এই সব পশুর বাসস্থানের সুযোগ সংকুচিত করছে। পশুদের বাসস্থান ও খাবার সংকট দেখা দেয়ায় এরা বেপরোয়া হয়ে মানুষের ওপর হামলা করছে।
খবর এএফপি’র।
অন্যদিকে মানুষও প্রতিদিন গড়ে একটি চিতাবাঘ হত্যা করছে। এভাবে স্থান দখলকে কেন্দ্র করে পশু ও মানুষের সংগ্রাম চলছে।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভারত সরকারের ব্যাপক নগরায়ন পরিকল্পনার কারণে নির্বিচারে বন উজাড় করে ফেলা হয়েছে। এতে বাসস্থান হারিয়ে পশুরা বাধ্য হয়ে জনপদগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০১৪ সালের এপ্রিল ও চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে ১ হাজার ১শ’৪৩ দিনে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বন্য পশুর আক্রমণে ১ হাজার ১শ’ ৪৪ জন মারা গেছে।
এই মৃত্যুর হার কমে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রণালয় জানায়, একই সময়ে ৩৪৫টি বাঘ ও ৮৪টি হাতিকে হত্যা করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই পশুর বিভিন্ন অঙ্গ পাচারকারীদের হাতে মারা গেছে। হাতির দাঁতের পাচার করার জন্য তাদের হত্যা করা হয়।
বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্ধান্ত দাস জানান, পশুদের এলাকায় অরক্ষিতভাবে মানুষ প্রবেশ করায় তারা মারা যায়।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মৃত্যু কমাতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আমরা প্রচারণা শুরু করেছি।’
গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাঘের হামলায় ৯২ জন ও হাতির হামলায় ১ হাজার ৫২ জন মানুষ মারা গেছে।
গত বছর পশ্চিমবঙ্গে বন্য হাতির পাল কয়েক ঘন্টাব্যাপী তা-ব চালায়। এ সময় পাঁচ জন নিহত এবং যানবাহন ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরে ট্রাঙ্কুলাইজার (পশুদের ঘুম পাড়ানো বন্দুক) দিয়ে তাদের দমন করা হয়।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বন্য পশুর আক্রমণে প্রায় ৯৫০ জন প্রাণ হারায়।
২০১৪ সালে সর্বশেষ পশু শুমারী অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৩০ হাজার হাতি ও ২ হাজার ২শ’ ২৬টি বাঘ রয়েছে। দুটি পশুই বর্তমানে বিপন্ন।
সুত্র- বাসস