জিপি নিউজঃ বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও পরে মা-সহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ও তুরফানের স্ত্রীসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে জনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
সোমবার বগুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে এই রিমান্ড আবেদন করেন। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে পুলিশ তুফানের স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
বগুড়ার ওই ঘটনায় দুটি আলাদা মামলা হয়। অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা এবং ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মা-মেয়েকে নির্যাতন করার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়। দুটি মামলায় এজাহারে মোট ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মা-মেয়েকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার মামলার পলাতক পাঁচ আসামি তুফানের স্ত্রী আশা সরকার, কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার ওরফে রুমকি, তাঁর মা রুমি বেগম, তুফানের দুই সহযোগী জিতু ও মুন্নাকে রবিবার ঢাকার সাভার ও পাবনা শহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রবিবার রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের বাদুরতলায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারের বাবা জামিলুর রহমানকে। তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনার মূল হোতা তুফানসহ তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আতিকুর রহমান শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তুফান ও বাকি দুজন জবানবন্দি না দিলে তাঁদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত রবিবার তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৭ জুলাই বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার এবং এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। শুক্রবার বিকেলে তাঁরা ওই ছাত্রী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।