জিপি নিউজঃ পুলিশের কিছু লোক অতি উৎসাহী হয়ে নিজের প্রমোশনের জন্য। বিভিন্ন বাসায় স্বৈরাচারী অভিযান চালায়। কয়েক দিন আগে যেমন স্বৈরচারি অভিযান চলিয়েছি আ স ম আবদুর রবের বাসায়। এর আগে এমন অভিযান চালিয়েছিল বিএনপি চেয়ারপ্যাসনের বাসাতে। আমাদের বাসাতেও এ ধরনের স্বৈরাচারী অভিযান যেকোন সময় চালাতে পারে। তাই যেকোনো মূল্যে এ ধরনের স্বৈরাচারীদের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সোমবার রাতে ডিবিসি নিউজের রাজকাহন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্য আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি।
নিতাই রায় চৌধুরী আরো বলেন, আমাদের বিধান আছে যদি নির্বাচনের দিন কেউ অতি উৎসাহী হয়ে কোন পুলিশ কিছু করে তাহলে তাকে শুধু উড্রো করা হবে। কিন্তু শুধু উড্রো করার মাধ্যমেই সঠিক বিচার হয় না। তাকে তার চাকরী থেকে বাদ দিতে হবে কারণ আজকে যদি অতি উৎসাহী হয়ে আ স ম আবদুর রবের বাসায় অভিযান চালিয়ে থাকে তাহলে তাকে চাকরী থেকে প্রতাহ্যার করা হোক। এমন করা হলে আর কোন পুলিশ অফিসার মনে চাইলেই স্বৈরচারি অভিযান চালানো সাহস পাবে না।
এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হলো, সরকারি দল বিএনপিকে এতো ভয় পাচ্ছেন? এতো আতঙ্কিত হচ্ছেন? বিএনপি নির্বাচন করতে চায় কারণ তারা নির্বাচন মুখি দল। বিএনপি তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো। এখনও যেখানে ভোট হচ্ছে সেদিকে তাকান দেখবেন বেশির ভাগ সিটি নির্বাচনে বিএনপির লোক পাশ করেছে ঠিক আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে দেখবেন বিএনপিই ক্ষমাতায় আসবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কেন আমরা অংশ গ্রহণ করিনি। কারণ আমাদের সেই সময় এবং এখন পযর্ন্ত বক্তব্য হলো, আমরা একটি অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন চাই যে নির্বাচনে জনগণ তার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী দল নির্ধারণ করতে পারবে। এখন ইসি ও সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে বিএনপি ইসির সংলাপে যাবে কী যাবে না। কারণ বিএনপি বরাবরই বলে আসছে নির্বাচন হতে হবে সহায়ক সরকারের অধীনে। অন্যথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। কাজেই সমস্যা সমাধান না করে ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপ কোনো কাজে আসবে না।