জিপি নিউজঃ চাঁদার টাকা না পেয়ে বরিশালের বানারীপাড়ার বেতাল গ্রামে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে জেলা ছাত্রলীগের সুপারিশপত্র ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।
বহিষ্কৃত সুমন হোসেন মোল্লা বেতাল গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন মোল্লার ছেলে এবং বানারীপাড়ার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্ষণ মামলায় বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আসামি সুমন হোসেন মোল্লা তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে বরিশাল নগরীতে আত্মগোপন করে। পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোর্সের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে নগরীর কালীবাড়ি রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার বিকালে ধর্ষিতা নববধূ বাদী হয়ে বানারীপাড়া মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লা ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে।
টেম্পু চালক সেলিম জানান, চট্টগ্রামে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে পরিচয় হয় তার সঙ্গে ওই নববধূর। আট থেকে নয় মাস আগে দুজন বিয়ে করেন। সম্প্রতি সেলিম স্ত্রীকে নিয়ে নানাবাড়ি উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বেতাল গ্রামে বেড়াতে যান। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন মোল্লা দলবল নিয়ে সেলিমের কাছে চাঁদা দাবি করেন। শনিবার সন্ধ্যায় সেলিম তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হলে ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন মোল্লা ও তার সহযোগীরা দুজনকে ধরে নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রেখে নববধূকে ধর্ষণ করেন।
বানারীপাড়া সার্কেলের এএসপি শাহাবুদ্দিন কবীর জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আজ সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।