সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং তিস্তা নদীতে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ছাড়াও কাজীপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। বন্যাকবলিতদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। বন্যাকবলিত এলাকায় সরকার থেকে যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
গত সাত দিনে কাজীপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার মিল্ক ভিটার খামারিরা গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ১৯৪টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪ হাজার ৮১৬ পরিবার ও ৬১ হাজার ১৮৬ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের মধ্যে ৮৪ টন চাল ও তিন লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।