যাদের ‘অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল’ তাদের জন্য সুখবরঃ
বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে ভাবছেন বিল তো হয়েই গেছে, এখন আর কারণ খুঁজে বের করে কি হবে। তাহলে আপনাকেই বলছি, যদি এখন থেকেই ‘পাওয়ার সেভার ডিভাইস’ ব্যাবহার করেন তাহলে পরবর্তীতে বিদ্যুতের বিল ২৫% সাশ্রয় হবে।
বিদ্যুৎ আমাদের মৌলিক চাহিদার একটি । আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আবার লোড শেডিং আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। সুতরাং আমরা কি করতে পারি ?
মূলত সাশ্রয়ী মনোভাব গড়ে তুলতে পারলে অনেক সমস্যা থেকেই উত্তরণ সম্ভব।
আমরা যদি “পাওয়ার সেভার ডিভাইস” ব্যবহার করি তাহলে অনায়াসেই আমাদের বিদ্যুৎ বিল ২৫% সাশ্রয় করতে পারি। এটা ব্যবহারের ফলে আমাদের গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির আয়ুস্কালও বৃদ্ধি পায়, লোড শেডিং কমে আসবে এবং সামগ্রীকভাবে দেশ লাভবান হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে বৈদ্যুতিক বিলে অর্থ সাশ্রয় করি এবং আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি সমস্যা সমাধানে সহায়তা করি এবং সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়ি ।
এটা ভুলে যাওয়া চলবে না যে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং স্বল্পোন্নত দেশ। এই দেশের অনেক কিছুই এখনও ঠিকঠাক মতো গড়ে ওঠেনি। বিদ্যুত ব্যবস্থার এখনও যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। দেশের অনেক অঞ্চল এখনও বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আসেনি। যেখানে বিদ্যুত আছে সেখানেও সারাক্ষণ বিদ্যুত থাকে না। চাহিদা এবং উৎপাদনের সঙ্গে সমন্বয় না হওয়ায় এই অবস্থা।
একদিকে যেমন বিদ্যুতের সঙ্কট অন্যদিকে এর অপব্যবহারও রয়েছে । কেউ বাতি জ্বালানোর বিদ্যুত পায় না, আবার কেউ বিদ্যুত নিয়ে বিলাসিতায় মেতে ওঠে। যেখানে একটি বা দু’টি বাল্ব হলেই চলে সেখানে অনেক বাতি জ্বালানো হয়। অহেতুক আলোকসজ্জাও করা হয়। গরমের সময়ও মোটা কাপড় পরে এয়ারকুলার চালিয়ে রাখা হয়। অফিস-আদালতে লোকজন না থাকলেও অনেক সময় ফ্যান ঘুরে, বাতি জ্বলে। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নিজহাতে ফ্যান, লাইটের সুইচ বন্ধ করার কথা ভাবতেও পারেন না অনেকে। নিজহাতে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা, এটাই আসলে গৌরবের ব্যাপার । অপচয় করার মধ্যে কোন বাহাদুরি নেই। শুধু বিদ্যুতের ক্ষেত্রেই নয় সকল ক্ষেত্রেই যদি মিতব্যয়ী হওয়া যায় তাহলে সমাজে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। কথায় বলে, বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধু হয়। কোন কিছুরই নিয়মবহির্ভূত এবং অপব্যবহার ভাল নয়।
তবে বাসা- বাড়ি , অফিস –আদালত বা কারখানায় যাদের অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল আসে তাদের জন্য সুখবর হলো ‘কেএমবি লিমিটেড’(KMB Limited) কোম্পানি বাজারে নিয়ে এলো বিদ্যুত বিল সাশ্রয়ী “পাওয়ার সেভার ডিভাইস” যা ব্যবহারের ফলে আপনার বিদ্যুত বিল কমপক্ষে ২৫% কমে আসবে । এটি দামেও বেশ সস্তা এবং ব্যবহারেও কোন ঝামেলা নাই ।
পাওয়ার সেভার ব্যবহার এর বৈশিষ্ট্যঃ
বাসা-বাড়ী, অফিস-আদালত, মিল কল-কারখানা, সেঁচের পানির পাম্প ইত্যাদিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এই ডিভাইস ব্যবহারে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ
১) বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ স্ট্যাবল রেখে সরঞ্জাম স্থির রাখে।
২) বিদ্যুৎ চমক/বজ্রপাত এর ক্ষতির প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
৩) পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নয়ন করে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে ।
৪) বৈদ্যুতিক অগ্নি ঝুঁকি হ্রাস করে ।
৫) পরিবেশ বান্ধব ।
৬) সহজ সংযোগ এবং সাধারনত নতুন ওয়ারিং অপ্রয়োজন ।
৭) ২৫% পর্যন্ত বিদ্যুত বিল সাশ্রয় ।
৮) এক বছরের বিক্রয়োত্তর ওয়ারেন্টি ।
০) বিনিয়োগে দ্রুত লাভ ।
ব্যবহারে সতর্কতা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ডিভাইস ব্যবহারের কারণে পরিবেশ, শারীরিক বা মানসিক কোন অসুবিধা দেখা দিবে না, তবে এটি ব্যবহারের স্থান শিশুদের নাগালের বাইরে রাখাই উত্তম । আমরা যদি সবাই একটু সতর্ক হই এবং এটাকে ব্যপক হারে প্রচার করি তাহলে সকলেই প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল থেকে বাড়তি খরচের অংকটা কেটে ফেলতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে সাশ্রয়ী মনোভাব একটি সবুজ পৃথিবী তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে ।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের যথেষ্ট খরচ হয়, বিদ্যুতের অপব্যবহার যেন না হয়। প্রত্যেকের মাঝে এই মানসিকতা থাকতে হবে যে, বিদ্যুৎটা আমারই সম্পদ, আমি এটাকে রক্ষা করি বা সাশ্রয় করি। আপনারা সাশ্রয়ী মনোভাব নিন অর্থাৎ প্রত্যেকের মাঝেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মানসিকতাটা থাকতে হবে।
বি,দ্রঃ ব্যবহার শেষে আপনার বাড়ি ও অফিসের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ করুন । বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার টেকসই উন্নয়ন ও প্রবর্ধন নিশ্চিত করে । নিজে ‘পাওয়ার সেভার ডিভাইস’ ব্যবহার করুন অন্যকে উৎসাহিত করুন ।
কোথায় পাবেন পাওয়ার সেভার ডিভাইসঃ
বাংলাদেশের একমাত্র আমদানীকারক ও পরিবেশক-
কেএমবি লিমিটেড (KMB Limited)
প্রধান অফিসঃ হাউস নং- ৫৬, রোড- ১২, সেক্টর- ১০, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ ।
শাখা অফিসঃ বাসা নং- ২৮/এ, নয়া পল্টন (৫ম তলা), ঢাকা-১০০০ ।
মোবাইল নং- ০১৭৮১-১৪৭১২৯, ০১৮১৯-৮২০৮৭৪, ০১৬৭৬-৩৬৯৪১৫, ১০৭১১-০৫৬৫৭২ ।
Web: www.kmb-ltd.com
আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন