জিপি নিউজঃ বাজেট নিয়ে মানুষের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ থেকে বাঁচতে ক্ষমতাসীন সরকার কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমদে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এমন অভিযোগ করেন। রিজভী আহমেদ বলেন, পার্লামেন্টে সরকারি দল অর্থমন্ত্রীকে ধুইয়ে দিচ্ছে, অর্থমন্ত্রী অযোগ্য, মানসিক ভারসাম্যহীন তিনি সরকারকে ডুবাচ্ছেন। সবাই জানে বাজেট পাস হয় ক্যাবিনেটে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে। তারপর রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে পার্লামেন্টে যায়। সবই তো প্রধানমন্ত্রী ও সরকার জানে। তা সত্ত্বেও পার্লামেন্টের মধ্যে অর্থমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা ও তাদের বি টিম জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে দিয়ে নানা কথা বলানো হচ্ছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা মনে করি, এটা বিভ্রান্তি তৈরি করে ব্যর্থতাকে আড়াল করার চেষ্টা মাত্র। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, তারা মনে করেছে, উনারা একটার পর একটা অপকর্ম করবে, অনাচার করবে। আর উটপাখির মতো জনগণ বালির মধ্যে মাথা গুঁজে বসে আছে- এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেক ঘটনা আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, গণবিরোধী যে বাজেট, সেই বাজেট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জানেন, এই সরকার জানে। লুটপাটের মানসিকতার যে দর্শন সেটিকে চালু রাখার জন্য এটি করা হচ্ছে। ক্রিমিনালিস্ট থাকলে ক্রিমিনাল ইকোনমি বিরাজমান থাকে। আজ ক্রিমিনালরাই দেশ চালাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, পুলিশের ওসি বলেছেন, যে রুট দিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। অদ্ভুত ব্যাপার। যে রুট দিয়ে গেছেন সেটা কী বেলিুচিস্তান না রাজস্থান যে ওই রাস্তাটি পুলিশ প্রশাসনের আওতার বাইরে ছিলো। এটা অত্যন্ত পরিকল্পিত।

রিজভী বলেন, হাসান মাহমুদ কী হরিদাস পাল যে উনি এই ঘটনাটি ঘটালেন? নিশ্চয় আরো বড় জায়গা থেকে ইঙ্গিত ছিলো। এই ইঙ্গিতটা কেনো? বিএনপির মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের ওপর যদি এরকম একটা ঘটনা ঘটানো যায়।

বিএনপি মহাসচিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান,  সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক ইলিয়াস খান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বক্তব্য রাখেন।

Facebook Comments