জিপি নিউজঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন দুইজন চরমপন্থি নিহত হয়েছে। এসময় র্যাবের তিন সদস্য আহত হন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কোটচাঁদপুরের বহরমপুর গ্রামের নাগরতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ।
নিহতরা হলেন- পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) জনযুদ্ধের আঞ্চলিত নেতা নিহত মাইদুল ইসলাম রানা কোটচাঁদপুরের বকশিপুর গ্রামের ফকির চাঁদ মন্ডলের ছেলে এবং আলিমুদ্দিন একই উপজেলার বহরমপুর গ্রামের সলেমান মন্ডলের ছেলে।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে র্যাবের টহল দল কোটচাঁদপুরের কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও আত্ম-রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুক-যুদ্ধে মাহি-দুল ইসলাম ওরফে রানা ও আলিমুদ্দীন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিদেশি একনালা বন্দুক, একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া ও দুইটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
কোটচাঁদপুরের ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, নিহত মাইদুল ও আলিম উদিদনের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহত মাইদুল ইসলাম রানা জনযুদ্ধের প্রধান দাদা তপনের কাছে লোক বলে পরিচিত ছিল। পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির একচেটিয়া দাপটের সময় রানা ছিল মুর্তিমান আতঙ্ক। ১৯৯৫ সালে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া থেকে সন্ত্রাসী রানা একে-৪৭ রাইফেলসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে সে আবারো অন্ধকার জগতে ফিরে যায়। মোবাইল ফোনে চরমপন্থি দলের নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করতো। তার ভয়ে এলাকার মানুষ কথা বলতে পারতো না।