মার্কিন একটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নির্মিত একটি কৃত্রিম দ্বীপের খুব কাছ দিয়ে চলাচল করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের দাবীর ওপর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো যুক্তরাষ্ট্র।
অজ্ঞাতনামা একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডিউয়ি মিসচিফ রিফের মাত্র ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্য দিয়ে পার হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবী করে চীন, এর মধ্যে কিছু কোরাল রিফ এবং দ্বীপ অন্যান্য দেশও দাবী করে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলে আসছে, তারা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অভিযান চালাতে পারে।
যদিও তারা বলছে, আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে কোন পক্ষাবলম্বন তারা করে না, কিন্তু অতীতে বিতর্কিত দ্বীপের কাছে তারা সামরিক জাহাজ এবং বিমান পাঠিয়েছে, যাকে তারা বলছে গুরুত্বপূর্ণ নৌ এবং বিমান চলাচলের পথ রক্ষায় “চলাচলের স্বাধীনতা” অভিযান।
কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে বেইজিং চলাচলের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করছে বলে দাবী করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা বারবার এর সমালোচনা করে আসছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং তাতে কিছু সামরিক স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ঐ অঞ্চলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চীন সাগরকে ‘সামরিকীকরণ’ করার অভিযোগ তুলছে।
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই অঞ্চলটি একটি গুরুতর বৈশ্বিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বর্তমান চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এমন এক সময়ে এটি করা হলো যখন ট্রাম্প প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় বেইজিংয়ের সহযোগিতা চাইছে।
সুত্র – বিবিসি