জিপি নিউজঃ মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, হাওরে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মাসে ত্রিশ কেজি চাল ও পাঁচশত টাকার বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি হাস্যকর ও অসম্মানজনক। তিনি বলেন, ত্রাণ দিতে হলে দিন এটা কোন চিরস্থায়ী ব্যবস্থাও নয়, তবে অসন্মান করার অধিকার কারো নাই।
সিপিবি ও বাসদ’র উদ্যোগে আজ দিনব্যাপী মণি সিংহ-ফরহাদ ট্রাস্ট ভবনের তাজুল মিলনায়তনে ‘হাওর কনভেনশন’ এ কথা বলেন তিনি।
সুলতানা কামাল আরো বলেন, বাংলাদেশের একটি পরিবারে নুন্যতম পাঁচজন সদস্য থাকবেন বলে ধরে দেয়া হয়। ত্রিশ কেজি চাল যদি প্রতি মাসে দেয়া হয় তাহলে প্রতি একটি কেজি চাল প্রতিটি পরিবারের জন্য হবে দৈনিক বরাদ্ধ। এক কেজি চাল দিয়ে একটি পরিবারের তিনবেলা অন্নসংস্থান কি করে হয়,যারা এটা বরাদ্দ দিয়েছেন তাদের কাছেই এটা আমার প্রশ্ন। আর পাঁচশত টাকা খরচ করতে এখন এক মিনিটও সময় লাগে না। তাই এই পাঁচশত টাকা হাতে নিয়ে মানুষগুলি কিভাবে জীবন যাপন করবে-সেটা একটা বিরাট প্রশ্ন। তাছাড়া নারী পরিচালিত পরিবার গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হিসাবে আলাদাভাবে করা হয়নি। তিনি বলেন, সরকারের লোকজন কতটা তথ্য নিয়ে হাওরে যাচ্ছে তা এখন প্রশ্ন।
হাওর অঞ্চলের সমস্যাসমূহ সঠিকভাবে চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানের কার্যকর পন্থা নিরূপন ও তা বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করতে দেশব্যাপী জনমত গঠন ও আন্দোলন গড়ে তুলতে একনভেনশন করা হয়। কনভেনশনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ আবুল মকসুদ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ডা. মতিন, মোস্তফা জব্বারসহ হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-ক্ষেতমজুর, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বুদ্ধিজীবী বিশেষজ্ঞগণ বক্তব্য রাখেন।