জিপি নিউজঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রেখে বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী । তিনি বলেন সরকার বর্তমান মেরুদন্ডহীন ইলেকশন কমিশন, দলীয় প্রশাসন ও দুদক কে দিয়ে বিরোধী দল ও মতকে দমনপীড়নের মাধ্যমে যে নীল নকশার নির্বাচনের পায়তারা করছে সেই নির্বাচন দেশবাসী গ্রহণ করবে না । বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে।
আজ ১৪ মে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বাংলাদেশ প্রভাষক সমিতি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন ।
আমির খসরু বলেন, সারাদেশের রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযুক্ত । মহাযানজটের কারনে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা যায় না অথচ বিশ্বের অন্যান্য স্বৈরাচারের মত বাংলাদেশেও মেগা প্রজেক্টের নামে ভূ-উপগ্রহ স্যাটেলাইট নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে জনগণের চোখ অন্যদিকে ফেরাতে চাচ্ছে সরকার । স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জনগণের মাথাপিছু ঋণের পরিমান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক অতিরিক্ত ঋণের ভারে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। নিত্যপন্য জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে অথচ সরকারের সেদিকে কোন খেয়াল নাই । স্যাটেলাইটে কি পরিমান ব্যয় করা হয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশের জন্যও তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তফাজ্জল হোসেন বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মো. জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা, অধ্যাপক রকিবুল ইসলাম, অধ্যাপক কাজী মাঈনুদ্দিন, রাজিয়া সুলতানা শিউলী, মিজানুর রহমান, এম.এ তুহিন প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতন বিপ্লব ছাড়া হয় না। বিপ্লবের মাধ্যমেই স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে হবে। জনসমর্থনহীন এই সরকার শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তিনি দেশপ্রেমিক সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই জালিম সরকারকে হঠানোর আহ্বান জানান।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যকে একযোগে রাস্তায় নেমে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আন্তর্জাতিক স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কারাগারে নিক্ষেপ করবে।
জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, সারাদেশের তৃণমুল নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির অপেক্ষায় আছে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে রেখে নির্বাচন করার খায়েস মিটিয়ে দিবে জনগণ।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। ভোটারবিহীন নির্বাচন করার সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, পেশাদারীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। সরকার যেভাবে পেশাজীবীদের হয়রানি করছে তাতে পেশাজীবীরাই সরকারের পতন আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি সকল পেশাজীবীদের ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে তফাজ্জল হোসেন বাদল বলেন, শিক্ষকরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আজ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ করছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ প্রভাষক সমিতি অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।
-গিয়াস/জিপি নিউজ-
Facebook Comments