জিপি নিউজঃ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত নীল প্যানেল জয়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকা অঞ্চল থেকে গ্রুপ আসনে মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন মিয়া ।
আজ শনিবার দুপুরে ওয়ারীতে তার নিজ চেম্বারে আয়োজিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন ।
মহসিন মিয়া বলেন, এবারের বার কাউন্সিল নির্বাচন দেশের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ । বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জোর করে কারান্তরিত করে রাখা হয়েছে । তাই এই নির্বাচনে নীল প্যানেল জয়ী হলে জাতীয়তাবাদী দল আরও শক্তিশালী হবে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত হবে । তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে নীল প্যানেলকে জয়ী করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান ।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বারের নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা, ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন ফকির, খোরশেদ মিয়া আলম, এডভোকেট জিন্নাহ রথি , এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম ফিরোজ, এডভোকেট নাসির উদ্দিন পলাশ, এডভোকেট নজরুল ইসলাম পাপ্পু, এডভোকেট আবু জাফর সিকদার, প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ মে (সোমবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র, দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গনে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র এবং বাজিতপুরসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি আদালত অঙ্গণের ভোটকেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত নীল প্যানেলর সাধারণ আসনে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- অ্যাডভোকেট এ. জে মুহাম্মদ আলী, ফজলুর রহমান, বোরহান উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, তৈমুর আলম খন্দকার, আবু আব্বাস (ইনকাম ট্যাক্স) এবং সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া।
এছাড়া গ্রুপ আসনে মনোনীতরা হলেন- ঢাকা অঞ্চল থেকে অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, ময়মনসিংহ-ফরিদপুর অঞ্চল থেকে শ্রী জীবন কুমার গোস্বামী, সিলেট-কুমিল্লা অঞ্চল থেকে এ.টি.এম ফায়েজ, বগুড়া-রংপুর-দিনাজপুর-পাবনা অঞ্চল থেকে শেখ মুখলেসুর রহমান, যশোর-কুষ্টিয়া-রাজশাহী অঞ্চল থেকে মোঃ ইশাহাক, খুলনা-বরিশাল-পটুয়াখালী অঞ্চল থেকে এম. আর. ফারুক এবং চট্টগ্রাম-নোয়াখালী অঞ্চল থেকে দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
আইনজীবীদের সনদ প্রদানের ক্ষমতাসহ পেশাগত বিষয়ের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর বাকী ১৪ জন আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৪ জন সদস্যের মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে ৭ জন এবং দেশের ৭টি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে ৭ জন নির্বাচিত হবেন।