জিপি নিউজঃ মানবজাতি ও পৃথিবীকে রক্ষা করতে দরকার এক নতুন ধারার অর্থনীতি। কলকাতায় অভিজাত ‘অরিজিত মুখার্জী মেমোরিয়াল লেকচারে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী, সামাজিক উদ্যোক্ত, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বার্ষিক এ লেকচারে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট পেশাদারকের আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রতি বছরই। এতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির সঙ্গে তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওই বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন সময় এসেছে এটা মেনে নেয়া যে, পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অসমতা বৃদ্ধি, ভয়াবহ বেকারত্ব ও পরিবেশগত ধ্বংসের রূপ ধারণ করেছে পুঁজিবাদী অর্থনীতি।
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট কলকাতা (আইআইএমসি)তে আয়োজিত ওই বক্তব্যের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস: জিরো পোভার্টি, জিরো আনএমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড জিরো কার্বন ইমিশন’। অর্থাৎ তিন শূন্যের বিশ্ব: শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এর ওপর প্রফেসর ইউনূস তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মানবজাতি ও পৃথিবীকে রক্ষা করতে প্রয়োজন নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। তা হবে মানব প্রকৃতির সঙ্গে অধিকতর বাস্তবসম্মত। তা হবে পরার্থবাদী এবং উদার। এটা হবে চালিকা শক্তি। প্রফেসর ইউনূসের এমন বক্তব্য ও তার উপস্থিতির ভূয়সী প্রশংসা করেন আইআইএম কলকাতার ডিন (নিউ ইনিশিয়েটিভ অ্যান্ড এক্সটারনাল রিলেশন্স) উত্তম কুমার সরকার।
তিনি বলেন, অন্য কেউ নন, খোদ মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নির্গমন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনার সুযোগ আইআইএম কলকাতার জন্য একটি বড় পুরস্কার।
উল্লেখ্য, অরিজিত মুখার্জী মেমোরিয়াল লেকচার প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালে। এতে বক্তা ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট প্রফেসর কৌশিক বসু। প্রয়াত অরিজিত মুখার্জী ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের স্বতন্ত্র ও সম্মানিত ফ্যাকাল্টি। প্রফেসর মুখার্জীর জীবন ছিল মাত্র ৩৮ বছরের। তিনি ২০০০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে অকস্মাৎ মারা যান। তার স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে অরিজিত মুখার্জী মেমোরিয়াল লেকচার।