জিপি নিউজ: সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে ন্যায্য পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে গুলশানে জিএম ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।
৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় গুলশান ১ নম্বরে অবস্থিত সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যালয়ে সামনে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচীতে পাওনাদারদের পক্ষ থেকে জিএম ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আজম তালুকদার বলেন, তারা গত ৬ বছরেরও বেশী সময় ধরে সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে সুনামের সহিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে গত অর্থবছরে তাদের প্রায় ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান ছিল। প্রকল্প গুলো যখন সমাপ্তির পথে তখন তারা সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে মোটা অংকের টাকা পাওনা হয়। এই পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে টাকা না দেওয়ার জন্য টালবাহানা করতে থাকে।
তিনি বলেন, তাদের এই পাওনা টাকা নিয়ে সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র কর্মকর্তাদের আলোচনায় বসলে তারা দ্রুত তাদের ৪৪ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন কিন্তু প্রায় দেড় বছর পার হলেও তাদের টাকা দেয় নাই। এজন্য তারা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। একারনেই তারা তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডে এর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। এসময় জিএম ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য পাওনাদেরা ব্যানার ফেস্টুন হাতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে এবং সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড কে তারা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে তুলনা করেন। তারা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
পরে খবর পেয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান সাহেব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও জিএম ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সাথে নিয়ে সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন। এসময় তারা আগামী ৩ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান করবেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
পরে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের পাওনা টাকা আদায়ে সহযোগীতার আশ্বাস দিলে অবস্থানকারীরা দুপুর ২টার দিকে তাদের কর্মসূচী স্থগিত করেন।
গিয়াস/জিপি/নিউজ