জিপি নিউজঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয় – তাহলে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত সপ্তাহে এক জঙ্গী আক্রমণে অন্তত ৪০ জন আধাসামরিক পুলিশ সদস্য নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেবার পর ইমরান খান এ কথা বললেন।
টিভিতে দেয়া এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, তিনি আশা করেন যে শুভবুদ্ধিরই জয় হবে, কিন্তু ভারত কোন সামরিক পদক্ষেপ নিলে পাকিস্তান তার পাল্টা জবাব দিতে দ্বিধা করবে না।
পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামপন্থী গোষ্ঠী জৈশ-এ-মোহাম্মদ বলছে, তারাই এ আক্রমণ চালিয়েছে, তবে বিবিসির সংবাদদাতা সিকান্দার কিরমানি জানাচ্ছেন, আত্মঘাতী হামলাকারী লোকটি ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ছিল। কিন্তু ভারত অভিযোগ করছে, ওই আক্রমণের সাথে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-ও জড়িত ছিল।
কিন্তু জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ওই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ ঘটনার সাথে পাকিস্তান জড়িত থাকার প্রমাণ দেবার জন্য ভারতকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারতের হাতে যদি এর কোন কার্যকর প্রমাণ থেকে থাকে, তাহলে তার উচিৎ তা বিনিময় করা।
ইমরান খান বলেন, “পাকিস্তান যখন স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে চলেছে, তখন এরকম আক্রমণ থেকে তার কি লাভ হতে পারে?”
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের একজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার লে: জেনারেল কে জে এস ধীলন বলেন, ভারত সরকার জৈশ-এ-মোহাম্মদের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধরার চেষ্টা করছে – যারা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
ভারতের সামরিক কমান্ড থেকে আসা এটিই এ পর্যন্ত সবচেয়ে কড়া মন্তব্য।
জেনারেল ধীলন অবশ্য তার বক্তব্যের পক্ষে কোন প্রমাণ দেন নি।
ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে এ ঘটনার জবাব দেবার ব্যপারে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন।
ভারতের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
জৈশ-এ-মোহাম্মদকে যে পাকিস্তানই অর্থায়ন করে তার কথিত ‘প্রমাণ’সহ একটি ডোসিয়ার বা দলিলপত্রের সংকলন মিত্র দেশগুলোর মধ্যে বিতরণ করেছেন ভারতীয় এই কর্মকর্তারা ।
পাকিস্তান এ আক্রমণের নিন্দা করেছে এবং এর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
সুত্র-বিবিসি