জিপি নিউজঃ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে হবে।
এজন্য জেলা পর্যায়ে সকল সংস্থার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
আজ রাঙ্গামাটি জেলার ক্ষুদ্র নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত এক কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ঢাকায় প্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এখবর জানা যায়।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উষাতন চাকমা এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শাহ্ কামাল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙ্গামাটি ৩০৫ ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার গোলাম ফারুক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বক্তব্য রাখেন।
২০১৭ সালে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে মর্মান্তিক প্রানহানীর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার পাহাড় ধসে আর একটি মানুষেরও প্রাণহানী চায়না।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা নিয়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা করতে হবে।একটি সমন্বিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা,অধিক বৃষ্টিপাতের আগাম সংকেত, পাহাড় ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এর পূর্বে মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত এক র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালিটি পৌরসভা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কাঁঠাল তলা হয়ে দোয়েল চত্ত্বর প্রদক্ষিন করে সার্কিট হাউজে এসে শেষ হয়।
র্যালীতে পাহাড় ধস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন ব্যানার, প্লাকার্ড, ফেস্টুন ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সম্পর্কিত বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে র্যালিতে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন এনজিও ও জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মোহসীন।
মূল প্রবন্ধে জানানো হয়,পাহাড়ে অপরিকল্পিত বসবাস,পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, পানি বেরিয়ে যাওয়ার নালার অভাবসহ অন্যান্য কারণে পাহাড় ধস হয়। ২০১৭ সালে মাত্র ৩ দিনে রেকর্ড ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। বেলে ও দোআঁশ মাটিতে গঠিত এ পাহাড়গুলো এ পরিমান বৃষ্টির পানি শোষন করতে না পারায় পাহাড় ধস হয়। এতে ১৬৬ জনের প্রানহানী ঘটে। এর মধ্যে শুধু রাঙ্গামাটিতেই ১২০ জনের প্রাণহানী ঘটে।
সুত্র- বাসস