জিপি নিউজঃ রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডের জঙ্গি আস্তানায় থাকা দুর্ধর্ষ জঙ্গি আব্দুল্লাহসহ অন্যরা আত্মসমর্পণে সম্মত হয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান আজ সন্ধ্যায় বাসস’কে জানান, জঙ্গি আব্দুল্লাহ দুই স্ত্রী-পুত্রসহ সঙ্গীদের নিয়ে মিরপুর মাজার রোডের ওই ভবনের পঞ্চম তলার বারান্দায় এসে হাত নেড়ে উচ্চস্বরে র্যাবের উদ্দেশ্যে তাদের আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দু’সহযোগীসহ ভবন থেকে বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে তাকে আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হলে সে র্যাবের কাছে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সময় চায়।
আত্মসমর্পণের পর ভবনে তল্লাশী চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার ও ধ্বংসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের জানান, ওই ভবনের পঞ্চম তলায় দুর্ধর্ষ জঙ্গি আবদুল্লাহসহ ৭জন অবস্থান করছে এবং তাদের কাছে বিপুল পরিমান বিষ্ফোরক দ্রব্যও রয়েছে।
তিনি জানান, দুর্ধর্ষ জঙ্গি আবদুল্লাহ তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দু’সহযোগীসহ মোট ৭জন ওই ভবনের পঞ্চম তলায় অবস্থান নিয়েছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আব্দুল্লাহ র্যাবকে জানিয়েছে, তার কক্ষে ৫০টির মত আইইডি রয়েছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ রয়েছে। তার কাছে একটি পিস্তল রয়েছে বলে র্যাব ধারণা করছে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে ওই বাড়ির বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ভবনের ২৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৩টির ৬৫ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় একটি স্কুলে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫জন শিশু, ২৪জন নারী ও ২৬জন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে আবদুল্লাহর এক বোনও রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ২০০৫ সাল থেকে জঙ্গিবাদে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে সে মিরপুর মাজার রোডে বসবাস করে আসছে। সে কবুতরের ব্যবসার পাশাপাশি আইপিএস ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী মেরামতের কাজও করতো।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, র্যাব সদস্যরা সোমবার রাত ১টার দিকে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলার পর সেখান থেকে চারটি বোমা ছোঁড়া হয়। এরমধ্যে পেট্রোল বোমাও ছিল। এতে কেউ হতাহত হয়নি। ওই বাড়ি থেকে র্যাবের দিকে গুলিও ছোঁড়া হয়েছিল বলে তিনি জানান।
সুত্র- বাসস