অবশ্য গল্প মনে হলেও সত্যি। তিনটি পরিবার। সেখানে ছেলেমেয়ে মিলিয়ে একটা প্রজন্মেরই ৯৬টি সদস্য। মানে সোজা ভাষায় ভাইবোনের সংখ্যা মাত্র ৯৬!
৫৭ বছর বয়সি গুলজার খান। ছেলেমেয়ের সংখ্যা ৩৬। আর তার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী এই মুহূর্তে সন্তানসম্ভবা।
উত্তর ওয়াজিরিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলার বাসিন্দা ৭০ বছরের মস্তান খান ওয়াজির। সন্তানসংখ্যা ২২ জন। এখানেই শেষ নয়, তার নাতি নাতনির সংখ্যা অগুণতি।
বেলুচিস্তানের কোয়েট্টার জান মোহাম্মদ, যার ৩৮টি সন্তানের বাবা। তার এখন ইচ্ছা চতুর্থবার বিয়ে করার।
অবশ্য অবাক হওয়ার খুব বেশি কিছু নেই। বহুবিবাহ পাকিস্তানে নিষিদ্ধ নয়। জন্মদানের হারে দক্ষিণ এশিয়ায় সেরার শিরোপা পেয়েছে পাকিস্তান। প্রতি মহিলা পিছু তিনজন করে সন্তানের হিসেব ধরা হয় পাকিস্তানে। শেষ আদমসুমারি অনুযায়ী পাকিস্তানের জনসংখ্যা ১৩.৫ কোটি। এই হিসাব অবশ্য ১৯৯৮ সালের। হিসাাব বলছে, এখন তা ২০ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গেছে।