জিপি নিউজঃ আগামীকাল আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রযাত্রা শুরু করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের জন্য আগামীকাল শনিবার আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। এর মাধ্যমে আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির সর্বাত্মক অগ্রযাত্রা শুরু করবো।’
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর প্রধান মিলননায়তনে ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যদান কালে এ কথা বলেন।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি মো. ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী স¤্রাট ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাঈল হোসেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর ৬ মাসের মধ্যে দলের প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সভায় দলীয় নেতাদের হাতে নতুন ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র তুলে দেওয়া হবে।
এ সভা থেকে আওয়ামী লীগের পুরান সাধারণ সদস্যদের সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় নতুন সদস্য অভিযান চলাকালে দলে যাতে কোন অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে সেদিকে প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
রাজনৈতিক সমঝোতার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন পুত্রহারা মাকে শান্ত¦না জানাতে গিয়েছিলেন সেদিন তারা দরজা বন্ধ করেই তাদের সঙ্গে সমঝোতার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের পুরস্কৃত করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল তাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সমঝোতা হতে পারে না।
ইসিতে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকার শুধুমাত্র সরকারের রুটিন মাফিক কাজ করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া তাদের রাজনৈতিক অধিকার। কাউকে জোর করে নির্বাচনে অংশ নেয়ানোর কিছু নেই। আর নির্বাচন কমিশন গঠনকালে আওয়ামী লীগের প্রস্তাব থেকে একজন এবং বিএনপির প্রস্তাব থেকে একজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাষ্ট্রপ্রতি নিয়োগদান করেছে।